"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

মারাজাল বাহরাইন চেরাগে গাউসুল আ'যম মাইজভান্ডারি বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি ক: এর জীবন-পর্বঃ (১)

জম্ম ও পরিচয়ঃআপনারা অনেকেই 'শাহানশাহ' হিসেবে উনার নাম শুনে থাকবেন।মাইজভান্ডারি ঘরানার একজন মহান ও মহৎ অলি-এ-কামেল ও আধ্যাত্মিক সাধক হিসেবে তিনি দশ দিগন্ত কাপিয়ে গেছে।এই মহান অলি ১২ই রজব,১৩৪৭ হিজরি,১০ পৌষ,১৩৩৫ বাংলা,২৫ ডিসেম্বর ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে জম্মগ্রহণ করেন।তিনি গাউসুল আ'যম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ প্রকাশ "হযরত কেবলা" 'র আশেকের নাতী "খাদেমুল ফোকরা" সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী কঃ এর ১ম পুত্র।শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ 'র দাদাজানের নাম সৈয়দ ফয়জুল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ প্রকাশ "ফানায়ে ওয়াসেল" ও নানাজানের নাম সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী কঃ প্রকাশ "বাবা ভান্ডারি"।আপনারা সকলেই হয়ত এখন অবগত তিনি কেমন বুজুর্গ পরিবারে জম্মগ্রহণ করেছেন এবং কেমন বুজুর্গ ব্যাক্তিদের রক্ত উনার শরির মুবারকে বহমান। হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ শেষে কানুনগো পাড়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন।শিক্ষা জীবনের মাঝপথেই উনার জীবন স্রোত উলটে যায়।তিনি তখন বি এ পরিক্ষা দিচ্ছিলেন।পরিক্ষার তৃতীয় দিনে সাদা খাতা জমা দিয়ে তিনি মাইজভান্ডার দরবার শরিফে ফিরে আসেন।এ ফিরে আশা ছিল আসলে উনার বিশ্বযাত্রার সুচনা।এই বিশ্বযাত্রা শুরু হয়েছিল জীবন রহস্যের সুরঙ্গ পথে।পরিশেষে তিনি পরিণত হয় বিশ্ব-অলিতে। "I came to live in the glory of Love and the light of Beauty,which are the reflection of Lord.I am here,living and I can not be exiled from the domain of life for through my living word I will live in death.Icame here to be for all and with all,and what I do today in my solitude will be echoed tomorrow by the multidude," [KAHLIL GIBRAN] (আমি এসেছিলাম বাচতে ভালবাসার মহিমায় এবং সৌন্দর্যের আলোকমালায়, যা প্রভুর প্রতিবিম্ব ।আমি এখানে আছি,জীবন্ত এবং আমাকে জীবনের সাম্রাজ্য থেকে দেওয়া যাবে না নির্বাসন।কারণ আমার সজীব শব্দনিচয়ের মাধ্যমে আমি মৃত্যুতেও বেঁচে যাব ।আমি এখানে এসেছিলাম সকলের হবো এবং সকলের সাথে থাকবো বলে এবং আমি আজ নির্জনে বসে যা করছি,আগামীকাল শত লক্ষ কন্ঠে জাগবে তাঁর প্রতিধ্বনি।) [কাহলীল জিব্রান'......] শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-কে যারা দেখেছেন এবং অনুভব করতে পেরেছেন,দার্শনিক কবি কাহলীল জিব্রানের উপরোক্ত শব্দমালার মধ্যে ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছেন উনার মানস প্রতিবিম্ব।আর উনাকে দেখার সৌভাগ্য যাদের হয় নি,তাঁরা ঐ শব্দগুলোর মর্মবাণী মাধ্যমে অনুধাবন করতে পারলে বিশাল হৃদয়ের অধিকারি ঐ মহান মানুষটাকে (অলিকে) কিঞ্চিত অনুভব করতে পারবেন।হ্যাঁ ঐ বিশাল অন্তরের মানুষটাই বলিষ্ঠ কন্ঠে বলতে পারেন, " আমার দরবার প্রাচ্যের বাইতুল মোকাদ্দাস,আল্লাহর ঘর,সকল জাতির মিলন কেন্দ্র"।"[ I came here to be for all and with all]" আমাদের দেশের আধ্যাত্মক গতানুগতিক ধ্যান-ধারণার আয়না নিয়ে দেখতে বসলে কেবল শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ নন,হযরত গাউসুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ শাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ তথা সমগ্র মাইজভাণ্ডারী দর্শন,জ্ঞান ও মানব সাধনার যথার্থ ও সে বিষয়ে পরিচয় পাওয়া যাবে না।উনাদের আধ্যাত্মিক সাধনা মূলতঃ জ্ঞান বিজ্ঞানের সাধনা ও বৃহত্তর মানবতার কল্যাণ সাধনারই ফলিত রুপ।শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ স্বয়ং আধ্যাত্ম জ্ঞানের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার উপর সমানভাবে গুরুত্ব দিতেন।সবাইকে তাগিদ দিতেন ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের,কারিগতি জ্ঞান আহরণের।উনি উনার সারাটা জীবন কেবল সুবিচার-সততা-ন্যায়নিষ্ঠা-ধর্মপ্রাণতা-মানবতা ও সর্বপ্রেমবাদকেই লালন করেননি,পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও।কারণ,ব্যবহারিক জ্ঞান-বিজ্ঞানই কার্যতঃ সাধারণ্যে মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।