,মোন্তাজেম,গাউসিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল,মাইজভান্ডার দরবার শরিফ,চট্টগ্রাম)
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রমাণিত হই যে,গাউসুল আযম অভিধায় সর্বপ্রথম বিভুষিত জন হলেন কুতবে রব্বানী,মাহবুবে
সুবহানী সাইয়েদুনা গাউসুল আযম শায়খ মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানি
রাঃ।"ফিরুযুল লুগা-ত নামক শব্দকোষে বিবৃত," গাউসুল আযম গাউসুস
সাকালাঈন;শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী (বড় পির সাহেব) এর উপাধি'।গাউসুল আযম
বাগদাদি (রাঃ')র জীবনিগ্রন্থে সমূহে সর্বাধিক বিশুদ্ধ-প্রসিদ্ ধ
নির্ভরযোগ্য প্রাচীনতম "বাহজাতুল আসরার ওয়া মা'দিনুল আনওয়ার"।এ গ্রন্থের
৫৫ পৃষ্ঠায় গাউসুল আযম জিলানী (রাঃ)'র ইঙ্গিতপূর্ণ বর্ণনায় উল্লিখিত তাঁর
সমকক্ষ একজন সাথীর অনন্য বেলায়ত বৈশিষ্ঠ্যের বিবরণ এবং গাউসুল আযম
মাইজভাণ্ডারী (রাঃ)'র জীবনি ও কারামত,বেলায়তে মোতালাকা সহ বহু তথ্যসুত্রে
বর্ণিত সরাসরি এরশাদ-"রাসুলুল্ লাহ
(দ)'র হস্ত মুবারকে দু'টি তাজ ছিল;একটি তাজ আমার মাথায় পড়িয়েছেন,অপরটি
আমার ভাই পিরানে পির সাহেব আব্দুল কাদির জিলানী সাহেবের মাথায় পরানো হয়'
সমন্বয়ে প্রমাণিত যে,উক্ত দুই মহান সত্ত্বা স্বতন্ত্র গাউসুল আযম এবং উভয়ের
এ উপাধি কাসিম-এ নেয়ামত হুজুর করিম দঃ প্রদত্ত।হযরত সাইয়েদুনা শাহসুফি
সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (রাঃ০'র গাউসুল আযম উপাধি কাসিম-এ নেয়ামত
শাহানশাহে রেসালত কর্তৃক বন্টিত।এটিকে অন্য কারো দেওয়া উপাধি বলার অবকাশ
নেই।এ প্রসঙ্গে ইমামে আহলে সুন্নাত গাজি শেরে বাংলা (রহঃ) লিখেছেন," আয
শাহান শা-হে আউলিয়া-মুযদাহ চুঁনা-মাসমু-'গু দাহ'
অর্থাৎ,"তাঁর এ (গাউসুল আযম) উপাধি শাহানশাহে মদিনা (দ)'র মহান দরবার থেকে এসেছে।এমন সুসংবাদ আউলিয়ায়ে কেরাম দের (আলোচনায়) শুনা গিয়েছে।'
কুতুবুল আকতাব,কুতুবে আলম,কুতুবে যমান,গাউসে যমান তথা পারিভাষিক কুতুব মাত্রই সমগ্র সৃষ্টিকূলে ক্ষমতাবান।আর "গাউসুল আযম" শব্দদ্বয়ের বিশ্লেষণাত্মক তাৎপর্যে সাধারণ গাউসদের তুলনায় বিশেষ শ্রেষ্ঠ গাউস বা বিশিষ্ট গাউস বুঝায়।এ মহা মর্যাদা যুগশ্রেষ্ঠ ওলিয়ুল্লাহ বিভূষিত নন বরং সাইয়েদুনা শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) এবং অনুরুপ মর্যাদা ও ক্ষমতা সম্পন্ন অপর ক্ষণজম্মা মহাপুরুষের বেলায় এ "গাউসুল আযম" অভিধা শ্রেষ্ঠ গাউস অর্থে প্রযোজ্য।আল ফথাতুল মক্কীয়াহ ২য় খন্ড ৭৩ং অধ্যায় ১৬ পৃষ্ঠা ও মসনবি শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ শরহে হযরত বাহরুল উলুমের ৬৪ পৃষ্ঠায় বর্ণনায় উক্ত বিষয়টি সুস্পষ্ট।উক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে,গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (রাঃ) কে পূর্বাঞ্চলের গাউসুল আযম ও কুতুবুল আকতাব বলার কোন অবকাশ নেই।হযরত শেরে বাংলা (রহঃ)'র উক্তি-
"হযরত শাহ আমদুল্লাহ কাদেরী,
কুতুবুল আকতাবে বেলা-দে মাশরিকী
যী-সবব ঊ গাউসুল আযম দর বেলা-দে মাশরিকী
ফায়যইয়া-বে রওযাহ আশ জিন ও পরী ও আদমী"
অর্থাৎ," হযরত শাহ আহমদুল্লাহ কাদেরি (রাঃ) ,পূর্বাঞ্চলের অধিবাসি কুতুবুল আকতাব।
এ কারণেই (নবি দঃ এর হস্ত মুবারকস্থ দু'টি তাজের একটি তাঁর শির মুবারকে স্থাপিত বিধায়) তিনি (অনন্য দু'য়ের এক স্বতন্ত্র) গাউসুল আযম।পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তাঁর রওযাহ শরীফ থেকে জিন পরি ও মানব্জাতি ফয়য অনুগ্রহের দান লাভকারি হয়।(তাই তিনি গাউসুস সাকালাঈন)।
বেলাদ অর্থ শহর-নগর-গ্রামাঞ ্চল
বুঝায়,আর মাশরিক অর্থ পূর্ব,অতএব "বেলা-দে মাশরিক অর্থ পূর্বাঞ্চল এবং
'ইয়া-ইয়ে নিসবতি' বা পরিচিত জ্ঞাপক "ইয়া" যোগে "বেলাদে মাশরিকী'র অর্থ
পূর্বাঞ্চলের অধিবাসি"।যেমন-গ াউসে
বাগদাদী বলতে বাগদাদ শহরের গউস না বুঝিয়ে বাগদাদের অধিবাসি গাউস
বুঝায়,সাইয়েদ মক্কী বলতে মক্কার অধিবাসি সরদার বুঝায় ,অনুরুপ কুতুবুল
আকতাবি বেলাদি মাশরিকী বলতেও পূর্বাঞ্চলের অধিবাসি কুতুবুল আকতাব বুঝাবে।এর
বিপরীতে বিকৃত অনুবাদের মাধ্যমে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (রাঃ) শান সংকোচ ও
আল্লামা শেরে বাংলা (রহঃ) জ্ঞানগত গভীরতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়ায় কখনো
কাম্য নয়। [ তথ্য সুত্র: গাউসুল আ'যম জিলানি (র:)'র সংস্কার ও ত্বরিকা
৪৯,৯৩,৯৪ পৃষ্ঠাংশ ]
{পরিশেষে দেখুন,রেখেছিলেন ।গাউসুল
আ'যম মাইজভাণ্ডারীর বাণী থেকে তা পরিস্কার বুঝা যায়।তিনি বলেছেন," আমি
একদিন আমার ভাই পিরানে পির সাহেবের সাথে কা'বা শরিফে ডুকে দেখতে পেলাম
রাসুল করিম সাল্লাল্লাহে আলাইহে ওয়া সাল্লামের পবিত্র সিনা মুবারক এক অসীম
দরিয়া।আমার উভয়ে উহাতে ডুব দিলাম।পরে দেখি দরজায় রক্ষিত আমার দারুচিনি
গাছের লাঠিটি হারিচান্দ চুরি করে তাঁর নিজের চাকের কাঠি বানিয়েছে"(সুত্র ঃ জীবনি ও কেরাম গ্রন্থ ২০০ পৃষ্ঠা প্রকাশ মে ১৯৮৭ইং,বেলায়তে মোতালাকা ৮২ পৃষ্ঠা দৃষ্টব্য)
তদ্রুপ শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি রহঃ তাঁর “গাউসুল ওয়ারা” নামক জীবনি গ্রন্থে বলেন,অন্তিম সময়ে গাউসে পাক রাদিঃ স্বলিখিত “মাকতুবাত” এ লিখেন,” খুদ্বনা বাহরান লাময়াক্বিফ আলা সাহিলিহিন আম্বিয়া” অর্থাৎ,’ আমি এমন এক সাগরে ডুব দিয়েছি যার উপকূলে আম্বিয়াগণের দাড়াবার সৌভাগ্য নসিব হয়নি” ।হযরত শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি রহঃ উক্ত গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে বলেন যে, “মুজতাহিদগণের দৃষ্টিতে স্বয়ং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ই মহান সমুদ্র।অর্থাৎ,এ র ব্যাখ্যা হল-আমার (গাউসে পাক)জাহেরি-বাতে নি,শরিয়ত-ত্বরিক তের
অনুসরণের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা এবং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি অনুসরণের
ক্ষেত্রে পরিপূর্ণতা এবং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
অস্তিত্বে জায়গায় পরিপূর্ণ বিলীন (কামেল ফানা হুয়া) হওয়া সম্ভব হয়েছে
।(সুত্র শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি রহঃ’গাউসুল ওয়ারা’ পৃষ্ঠা
২৪(উর্দু) ,প্রকাশনায়-মাকত ুবাতে জামে নূর,৪২২ মিঠা মহল জামে মসজিদ দিল্লী,ভারত)
কুরানে পাকে উল্লেখ,আল্লাহ বলেন, “হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহে আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আমি কি তোমার জন্য তোমার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?”।(সুত্রঃ সুরা আলম নাশরাহ(ইনশিরাহ) ,আয়াতঃ১)
সুতরাং উক্ত বাণি সমুহের আলোকে স্পস্ট গাউসে মাইজভাণ্ডারী এবং গাউসে জিলানি উভয়েই,রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহে আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছদর মুবারকে ডুব দিয়ে ইলমে দ্বীন,মারেফত,কা মালত,বেলায়ত,আজম িয়ত, সহ বেলায়তের উচ্চ আসন তথা বেলায়্তে ওজমা হাসিল করেছেন}
অর্থাৎ,"তাঁর এ (গাউসুল আযম) উপাধি শাহানশাহে মদিনা (দ)'র মহান দরবার থেকে এসেছে।এমন সুসংবাদ আউলিয়ায়ে কেরাম দের (আলোচনায়) শুনা গিয়েছে।'
কুতুবুল আকতাব,কুতুবে আলম,কুতুবে যমান,গাউসে যমান তথা পারিভাষিক কুতুব মাত্রই সমগ্র সৃষ্টিকূলে ক্ষমতাবান।আর "গাউসুল আযম" শব্দদ্বয়ের বিশ্লেষণাত্মক তাৎপর্যে সাধারণ গাউসদের তুলনায় বিশেষ শ্রেষ্ঠ গাউস বা বিশিষ্ট গাউস বুঝায়।এ মহা মর্যাদা যুগশ্রেষ্ঠ ওলিয়ুল্লাহ বিভূষিত নন বরং সাইয়েদুনা শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) এবং অনুরুপ মর্যাদা ও ক্ষমতা সম্পন্ন অপর ক্ষণজম্মা মহাপুরুষের বেলায় এ "গাউসুল আযম" অভিধা শ্রেষ্ঠ গাউস অর্থে প্রযোজ্য।আল ফথাতুল মক্কীয়াহ ২য় খন্ড ৭৩ং অধ্যায় ১৬ পৃষ্ঠা ও মসনবি শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ শরহে হযরত বাহরুল উলুমের ৬৪ পৃষ্ঠায় বর্ণনায় উক্ত বিষয়টি সুস্পষ্ট।উক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে,গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (রাঃ) কে পূর্বাঞ্চলের গাউসুল আযম ও কুতুবুল আকতাব বলার কোন অবকাশ নেই।হযরত শেরে বাংলা (রহঃ)'র উক্তি-
"হযরত শাহ আমদুল্লাহ কাদেরী,
কুতুবুল আকতাবে বেলা-দে মাশরিকী
যী-সবব ঊ গাউসুল আযম দর বেলা-দে মাশরিকী
ফায়যইয়া-বে রওযাহ আশ জিন ও পরী ও আদমী"
অর্থাৎ," হযরত শাহ আহমদুল্লাহ কাদেরি (রাঃ) ,পূর্বাঞ্চলের অধিবাসি কুতুবুল আকতাব।
এ কারণেই (নবি দঃ এর হস্ত মুবারকস্থ দু'টি তাজের একটি তাঁর শির মুবারকে স্থাপিত বিধায়) তিনি (অনন্য দু'য়ের এক স্বতন্ত্র) গাউসুল আযম।পূর্বাঞ্চলে
বেলাদ অর্থ শহর-নগর-গ্রামাঞ
{পরিশেষে দেখুন,রেখেছিলেন
তদ্রুপ শায়খ শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি রহঃ তাঁর “গাউসুল ওয়ারা” নামক জীবনি গ্রন্থে বলেন,অন্তিম সময়ে গাউসে পাক রাদিঃ স্বলিখিত “মাকতুবাত” এ লিখেন,” খুদ্বনা বাহরান লাময়াক্বিফ আলা সাহিলিহিন আম্বিয়া” অর্থাৎ,’ আমি এমন এক সাগরে ডুব দিয়েছি যার উপকূলে আম্বিয়াগণের দাড়াবার সৌভাগ্য নসিব হয়নি” ।হযরত শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি রহঃ উক্ত গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে বলেন যে, “মুজতাহিদগণের দৃষ্টিতে স্বয়ং হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ই মহান সমুদ্র।অর্থাৎ,এ
কুরানে পাকে উল্লেখ,আল্লাহ বলেন, “হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহে আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আমি কি তোমার জন্য তোমার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?”।(সুত্রঃ
সুতরাং উক্ত বাণি সমুহের আলোকে স্পস্ট গাউসে মাইজভাণ্ডারী এবং গাউসে জিলানি উভয়েই,রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহে আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছদর মুবারকে ডুব দিয়ে ইলমে দ্বীন,মারেফত,কা