হযরত অছি-এ-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর বাণী সমূহ এবং আশেক ভক্তের উক্তি ও স্বপ্নের বর্ণনা।
হযরত অছি-এ-গাউসুল আযম শাহসূফি সৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর বাণী সমূহঃ
১) বোয়ালখালী থানার খিতাপচরের ভক্ত ছৈয়দুর রহমান বড় মিঞা আসলে পাগল কিনা
জানতে চাইলে পিতা বলেন, “লোকেরা যে রকম মাথা -খারাপ মনে করছে তেমন নয়, আমার
বড় মিঞা আল্লাহর পাগল। সাধনা বলে যেখানে উঠেছেন তার উপরে ইনসানিয়াতের
(মানবতার) আর কোন স্তর নাই”। (সাধনার সব ধাপ পেরিয়ে অধ্যায়)
২) ১৯৭৬
সালে খোশরোজ শরীফ উদযাপনের প্রস্তুতি পর্বে জ্ঞানভান্ডার হযরত মাওলানা সৈয়দ
দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীর অনুমতি চাইলে বলেন, “মানবতার সর্বোচ্চ স্তরে
আমার বড় মিয়ার অবস্থান। তিনি বাবাজান কেবলার মসরকের অলি। মাওলানা শাহ্সুফি
সৈয়দ গোলাম রহমান মাইজভান্ডারী (ক.) ও মতিউর রহমান শাহ্ সাহেবের (র.)
খোশরোজ তো হয়; তাই আমার বড় মিঞার খোশরোজও হতে পারবে”। (মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত
অধ্যায়)
আশেক ভক্তের উক্তি ও স্বপ্নের বর্ণনাঃ
১) চট্টগ্রাম জেলার
রাউজান কাগতিয়ার হযরত হারেছ শাহ্ (র.) প্রকাশ হারেছ ফকির কামেল ব্যক্তি
হিসেবে সে অঞ্চলে বহুল পরিচিত; মাজারও সেখানে। তিনি একবার চৈত্রমাসী ওরশ
শরীফে এসে শাহানশাহ্ বাবাজানের সাথে দেখা করেন। বাবাজানের নির্দেশে তিনি
বেশ কিছু সময় আমাদের সাথে অফিস ঘরে অবস্থান করেন। দরবার পাকের আদব সম্পর্কে
তিনি আমাদেরকে সতর্ক করে বলেন, “আমি নির্দেশিত হয়ে এ মহান অলির দরবারে
এসেছি। তাঁর সম মর্যাদার কোন অলি বর্তমান জগতে নাই। আমিও এ বিশ্বঅলির
কৃপাপ্রার্থী”। (আয়নায় সমকালের পীর ফকির অধ্যায়)
২) চট্টগ্রাম জিলার
ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর আজিজুল উলুম (ওহাবী) মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা
মাওলানা মুহাম্মদ মূসা সাহেবের বড় ছেলে মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ মাইজভান্ডারী
(র.) হযরত মাওলানা গোলামুর রহমান (ক.) প্রকাশ বাবা ভান্ডারীর
কৃপাদৃষ্টিতে তাঁর মত কথাবার্তা বন্ধ করে জীবনের সত্তর বছর বয়সেও শ্রেষ্ঠ
রাসূল প্রেমিক হযরত ওয়ায়েজ করণী (রা.) এর মত গলায় একটা গাঁঠুরী নিয়ে পথে
প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতেন। আলাহর গুপ্ত জ্ঞানের অধিকারী এই অলি-আল্লাহ্
বহুবার বলেছেন, “বংশগত পবিত্রতা ও অসাধারণ ইবাদত রিয়াজতে আমার মামু সাহেব
হযরত জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী আলাহর এমন নৈকট্য লাভ করেছেন যেখানে আগামী এক
হাজার বছরে অন্য কাউকে দেখা যাচ্ছে না। নিঃসন্দেহে তিনি হাজার বছরের
শ্রেষ্ঠ অলি”। (প্রচণ্ড ক্ষমতার অধিকারী অলি অধ্যায়)
৩) চট্টগ্রামের
রাঙ্গুনীয়া উপজিলার পদুয়া নিবাসী প্রবীণ আলেম ও অধ্যাত্মজ্ঞানী মাওলানা
সামশুদ্দিন আহমদ চাঁটগামী প্রকাশ বুড়া মৌলবী সাহেব এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“শাহানশাহ্ হক ভান্ডারী এমন এক উচ্চ মর্যাদার অলি আলাহ্, যাঁর ইচ্ছার উপর
যুগের অন্য কামেল অলিদের ভালমন্দ নির্ভরশীল। তাঁর বেলায়তি দপ্তরের এমন
ক্ষমতা যে, যে কোন চোরকে তিনি মুহূর্তে আবদাল বানাতে পারেন”। (প্রচণ্ড
ক্ষমতার অধিকারী অলি অধ্যায়)
৪) মাইজভান্ডার শরীফ রওজা সংলগড়ব মাঠে
লাখো জনতার মহাসমাবেশ। সকলের অধীর অপেক্ষা, কবে আসবেন। মাঠের পূর্ব দক্ষিণ
কোণায় অপরূপ সাজানো এক মঞ্চ। হঠাৎ মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন হযরত গাউসুল আযম
মাইজভান্ডারী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) সাহেব। তাঁর হাতে স্বর্ণ ও
হীরা খচিত একটা অপূর্ব সুন্দর তাজ। কিছুক্ষণ পর হযরত জিয়াউল হক শাহকে
সেখানে আনা হলে হযরত সাহেব কেবলা নিজ হাতেই সে তাজ তাঁর মাথা মোবারকে পরিয়ে
দেন। -উপস্থিত জনতা আলাহু আকবর ধ্বনিতে আকাশ পাতাল মুখরিত করে তোলেন। এ
স্বপ্ন দেখেন আলহাজ্বা সৈয়দা মোজাহের রাব্বি (হযরত মাওলানা সৈয়দ মছিউল্লাহ
মির্জাপুরী (কঃ) এর কন্যা) ১৯৬০ সালে। (মহান তিনে মহাশক্তি অধ্যায়)
পরিশেষে বলা যায়, উপরোক্ত সকল ঘটনা, উক্তি বা মন্তব্য ও স্বপ্নের বাস্তব
প্রমাণ দেখা যায় শাহানশাহ বাবাজানের একটি কালাম দ্বারা, তা হল “I AM THE
POWER”
বাবাজানের ফয়জে করম সকলের উপর বর্ষিত হউক। আমিন।।