তজকেরাতে ফতুহাতে মক্কীর ২১ পেইজ ৭৩ অধ্যায় তে শায়খে আকবর কঃ বলেন," রাসুলুল্লাহর শ্রেষ্ঠ বেলাছতী বা উত্তরাধিকারীত্ব
"প্রথমঃহযরত ঈসা আঃ এক নম্বর বা শ্রেষ্ঠ।যেহেতু তিনি রেসালত ও বেলায়তের যুক্ত অধিকারী।ইনি সমস্ত বেলায়তের খাতেম এবং কেয়ামতের শেষ নিদর্শন।শেষ জমানাতে তিনি প্রকাশ (আগমন করবেন) হবেন"।
খাতেমুন অলদ/
"এই হিসাবে খাতেমুন আউলিয়া ঐ সময় থেকে আউলিয়া যে সময় হযরত আদম আঃ পানি ও মাটির সাথে মিশ্রিত ছিলেন "[ ফচ্ছুল হেকম ৯৩ পেইজ]।
"খাতেমুন আউলিয়া রাসুলুল্লাহের অলীয়ে ওয়ারিস হবে।খাতেমুন আউলিয়া রাসুলুল্লাহের বিভিন্ন রূপের মধ্যে শ্রেষ্টতম রূপ"[ ফচ্ছুল হেকম ৯৩ পেইজ]
"বুজুর্গি হিসাবে উনিই শ্রেষ্ঠ যিনি-নিসবতাইনে আদ'মী অর্থাৎ আগত বিগত জমানার অবস্থার বেষ্টনকারী হন।কামালিয়তের বা বুজুর্গির কোন প্রশংসা উনার বুজুর্গিতে বাদ পড়ে না,যদিও উনার এই গুণাবলী বাইরের দৃষ্টিতে বা বিচার বুদ্ধিতে অথবা শর আ মতে ভাল বা মন্দ।এই সর্ববেষ্টনকারী বেলায়ত "আল্লাহ" নাম বিশিষ্ট নামধারী অলীউল্লাহের জন্য নির্ধারিত" [ফচ্ছুল হেকম ১১১ পেইজ]
এতে প্রমাণিত "এই খাতেমে বেলায়তে মোকাইয়েদায়ে মুহাম্মদি খাতেমুল অলদ বা বেলায়ত"।যেহেতু এই ব্যাক্তির ব্যাক্তিত্বে বেলায়তের সর্বোচ্চ বেলায়ত মর্যাদা বা যোগ্যতা সমাবেশিত বা প্রকাশ হওয়ার ফলে এই " এস্তেহকাকে অজুদী" বা ব্যাক্তিত্ব,প্র
খাতেমুল অলদের বৈশিষ্ট্যঃ
"এই ছেলে অব্যবহিত পূর্বে উনার এক বোন জম্মগ্রহণ করবেন।উনার জম্ম চীন প্রান্তে হবে।উনার ভাষা স্থানীয় হবে।অতঃপর নর-নারীর মধ্যে বন্ধ্যারোগ সংক্রামিত হবে।জম্ম প্রজনন ব্যতিতই বহু বিবাহের আধিক্য হবে।মানবজাতিকে তিনি আল্লাহর দিকে আহব্বান জানাবেন কিন্ত সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যাবে না।উনার এবং সে যুগের মুমিন দের তিরোধান এর পর মানব স্বভাব চতুষ্পদ পশুর ন্যায় স্বভাবে পরিণত হবে।হালাল,হারাম
উপরোক্ত ভবিষ্যৎবাণী গাউসুল আ'যম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ প্রতি/দিকে ইঙ্গিত।কারণঃ
১।হযরত শীচ আঃ আহমদিয়ুল মশরব নবী ছিলেন এবং গাউসুল আ'যম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ ছিলেন আহমদিয়ুল মশরব ওলীউয়ুল্লাহ।
২। উনার জম্মের পূর্বে এক বোনের জম্ম হয়।
৩। উনার জম্মস্থান কে চীন প্রান্ত বলা হইছে কারণ, হযরত শায়খ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী রঃ এর যুগে এই অঞ্চল চীনা বংশধরদের শাসনাধীন ছিল { এই অঞ্চল ভারতীয় উপমাদেশ সাথেই ছিল,যেহেতু ভারত-পাকিস্থান একত্র ছিল,আর ভারতীয় উপমহাদেশ চীনের প্রান্তেই অবস্থিত}।
৪।উনার ভাষা স্থানীয় ছিল।
৫।উনার যুগে জম্মনিয়ন্ত্রণ ওবন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি পৃথিবীতে প্রচলিত হয়।
৬।তিনি মানবজাতি কে জাতি-ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তৌহিদ ও রুহানিয়তের দিকে আহব্বান করেন।
৭।জগতবাসী উনার আহব্বানে ব্যাপক ও সন্তোষজনক ভাবে সাড়া দিতে হৃদয়ঙ্গম করতে ও সাড়া দিতে সক্ষম হয় নি।
৮।উনার পর জগতবাসী ব্যাপক ভাবে ধর্ম ও বিবেক রহিত হয়ে প্রাণী জগতের অনুরূপ জীবন যাপন করতে দ্বিধাবোধ করছে না।বরং ধর্ম বিবর্জিত জীবনধারা নীতি হিসাবে গ্রহণ করছে।যা ন্যায়নীতি ,সাম্য ও দয়া বহির্ভূত।
৯।উনার জম্মের সময় উনার সম্মানিত পিতা স্বপ্নে দেখেন" তোমার ঘরে আমার মাহবুব বিকাশ লাভ করেছে।আমি তাঁর নাম আমার 'আহমদ' নাম আল্লাহ যুক্ত করে 'আহমদ উল্লাহ ' রাখলাম।
১০।তিনি ছিলেন বেলায়তে মোহাম্মদীর সূক্ষ্ণত্ব স্থুলত্বের সমাবেশকারী।
১১।তিনি 'খাতেমুন বেলায়ত' কারণ, খাতেমুন্নবি দঃ এর আদর্শ সুন্নতের অনুসরণে উনার ওফাতের আগে পুত্র সন্তান রেখে যান নি।[খাতেমুন এই বিষয়টা অনেকে ভুল বুঝে। খাতেমুন বেলায়ত দিয়ে বুঝায় যিনি পূত্র সন্তান রাখেন না। যেরুপ রাসুল খাতেমুন নবী, কিন্তু রাসুল দঃ খাতামুন নবিও কারণ উনার পর আর নবী আসবে না।তাই রাসুল দঃ খাতেমুন এবং খাতামুন]
১২।১১৪৩ হিজরী সনে হযরত আব্দুল গণি নাবলুসি রঃ এর ওফাতের পর নৈতিক অধঃপতন যুগ শুরু হয়। ১২৪৪ হিজরী সনে গাউসুল আ'যম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ আবির্ভাবের পর উনার বিশ্ব ত্রাণ কর্তৃত্বসম্পন্ন
১৩। তিনি হলেন "নিসবতাইনে আ'দমী" অর্থাৎ তিনি পূর্ব ও পরবর্তী ধর্ম বা কর্মপন্থার বেষ্টনকারী হিসাবে 'বেলায়তে মোহিত' বা 'বেলায়তে মোতালাকার' মালিক।
উপরোক্ত আলোচনা হতে নিঃসন্দেহে প্রতীয়মান যে, গাউসুল আ'যম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী কঃ হলেন হযরত মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী রঃ এর কর্তৃক বর্ণিত, খাতেমুন অলদ-খাতেমুন ওলী/বেলায়ত এবং গাউসুল আ'যম।