وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَكِنْ لَا تَشْعُرُونَ )
"আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তাদের মৃত বল না। তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পার না।" (সুরাঃ-বাকারা,আ
لاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاء عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
'যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছেন,তাদের কখনো মৃত ধারণা করোনা,বরং তাঁরা তাদের প্রতিপালকের নিকট জীবিকা(রিযিক)-প
তোমরা খুব উত্তম স্থানেই ফিরে এসেছো তোমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে ফিরে এসেছো আর তা হলো অন্তরের সাথে জিহাদ করা।আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে ফিরে এসেছি।” (বায়হাকি,দাইলাম
জিহাদে আকবর বা বড় যুদ্ধ তথা নফসের সাথে যুদ্ধ করে আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয় ইসলাম।এ যুদ্ধের সমরাস্ত্র রূপে আল্লাহ মু'মিন্দের কে দু'টি জিনিষ দান করেছে।যথা ক- আল্লাহর জালালতের ভীতি,খ- নফসকে স্বীয় প্রবৃত্তি থেকে নিবৃত্তি করা।
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى
"পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে" (সুরাঃনাযিয়াত,আ
فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى "তার ঠিকানা হবে জান্নাত।"সুরাঃন
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا "যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।"(সুরা-শামস,
এ সফলকাম অমর সত্তাদের অমরত্বের নিদর্শন প্রদর্শন পূর্বক আল্লাহ তা'য়ালা দ্বীনে ইসলামের সভ্যতার প্রমাণ জোরদার করেন যুগে যুগে।
নিম্নে এ ধরণের কয়েকটি ঘটনা উপস্থাপিত হলঃ
১। হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী (ক)'র বিশিষ্ট খলিফা শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আব্দুস সালাম ভূজপুরি (রাঃ),৪ পৌষ ১৯৪৯ সালে ইন্তেকাল করেন।তাকে ইদলপুর প্রসিদ্ধ বুজুর্গ বোডা শাহের মাজারের পাশে দাফন করা হয়।ইন্তেকালের প্রায় দেড় বছর পর তিনি বোডা শাহের সাথে তাঁর মশররবের মিল হচ্ছেনা বলে নিজ পুত্র মাওলা সৈয়দ মঞ্জুরুল হক ও মাওলানা সৈয়দ হাবিবুল হক সাহেবদ্বয় কে স্বপ্নে তাবুত অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।স্বপ্নাদিস্
২।হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী (ক)'র ভক্ত জনাব সৈয়দ আহমদ হুসাইন রহঃ ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ইন্তেকাল করলে ফটিকছড়ির নানুপুরস্থ আজিজুল্লাহ দারগা মসজিদ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।২৭ ডিসেম্বর ২০০৪ খিস্টাব্দে মৃত আবু আহমদের কবর খননকালে মাটি সরে পড়লে ৩৭ বছর পূর্বে দাফনকৃত আহমদ হুসাইন সাহেবের পায়ের দিকের তুষার শুভ্র কাফন দেখা যায়।এ ঘটনা কাফনের ছবিসহ জাতীয় ও স্থানিয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে- (দৈনিক ইত্তেফাক ২৮ ডিসেম্বর ২০০৪,দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪)
৩। কুতুবুল আকতাব গাউসুল আ'যম শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভান্ডারি (ক)'র মেয়ের ঘরের নাতি শাহজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ গায়েবিধন মাইজভাণ্ডারী (ক)'র মুরিদ মাওলানা আব্দুর রশিদ মাইজভাণ্ডারী রহঃ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।রাউজান, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শেখ পাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।বিগত ২০/০২/২০১০ খ্রিস্টাব্দের দিকে তাঁর মাজার পুকুরে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে নিজ পুত্র এডভোকেট আতহার মিয়াকে মাজার সংস্কারের জন্য বার বার স্বপ্নাদেশ করেন।২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ আতহার মিয়া সংস্কারের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেন।পরদিন ২৭ ফ্রেবুয়ারি শ্রমিকগণ খনন কাজ শুরু করেন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি মাটি সরাতে গেলে তাবুতের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায় এবং এতে দুই যুগাধিক পূর্বের সাদা কাফন অবিকৃত দেখা যায়।ঘনিষ্ট আত্মীয় ও সাংবাদিকদের কৌতূহল বশরঃ কাফন খুলে শরির ও চেহেরা সজীব দেখতে পান,স্থানীয় হাজার হাজার লোক ও বহু সাংবাদিক ঘটনাটি দেখতে ভীড় জমান।বহু জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে তাবুতের ছবিসহ ঘটনাটি সবিস্তারে প্রকাশিত হয়।(দৈনিক পূর্বকোণ ১ ও ২ মার্চ ২০১০,দৈনিক ইনকিলাব ১ মার্চ ২০১০,দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চ ১ মার্চ ২০১০ ও দৈনিক ডেসটিনি ১ মার্চ ২০১০)
৪।ফটিকছড়িস্থ কাঞ্চনপুরের এক বারই মনোপ্রানে হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী (ক)'র ভক্ত অনুরক্ত ছিলেন।জীবদ্দশায়
৫।ফটিকছড়ি নিশ্চিন্তআপুর নিবাসী বৌদ্ধ ধননজয় হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী (ক) এরপরম ভক্ত ছিলেন।তিনি ইসলাম ধর্মে বারবার দীক্ষিত হবার জন্য অনুরোধ করলেও হযরত আকদছ (ক) সম্মতি না দেওয়ায় মনস্কাম পূর্ণার্থে হযরতের পরম স্নেহভাজন পৌত্র অছিয়ে গাউসুল আ'যম শাহসুফী সৈয়দ দেলাওয়ার হুসাইন মাইজভাণ্ডারী (ক) কে সুপারিশের জন্য অনুরোধ করেন। অছিয়ে গাউসুল আ'যম হযরতের খিদমতে ধননজয়ের আর্জি পেশকরলে তিনি ধননজয় কে তালাশ করেন।ধননজয় 'হুজুর দাস হাজির' বলে হযরতের সম্মুখে করজোড়ে বসে পড়েন।হযরত (ক) তাঁকে বলেন,"তুমি তোমার ধর্মে থাক,আমি তোমাকে মুসলমান করলাম" বললেও তিনি বসে রইলেন।হযরতের খাদেম মৌলভি আহমদ ছফা কাঞ্চনগরী (রা) তাঁকে পেছন হতে ইশারায় ডেকে নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে,তাকে হাকিকতে মুসলমান করা হয়েছে।এরপর হতে তিনি প্রায় সময় হযরতের হুজরায় তাঁর ছোহবতে সময় কাটাতেন।হযরতের বেছাল শরিফের পর বাবাজান কেবলার হুজরাতে প্রায় রাত কাটিয়ে দিতে।তার স্ত্রীর বর্ণনামতে,মৃত্য
উপরিউক্ত বর্ণনামতে সুস্পষ্ট যে,গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী (ক)'র প্রতি ভক্তি-বিশ্বাস ও তাঁর প্রবর্তিত তরিকার অনুসরণে মরেও অমর হয় এমন সফল মু'মিন তথা প্রকৃত সুন্নি-মুসলমান হওয়া যায়।যুগ-যুগান্ত