"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

গাউসুল আ’যম মাইজভান্ডারি কঃ এর কেরামত পর্বঃ ৯ (আয়নায়ে বারি)

<<<<বেছাল শরিফের পর সশরীরে দর্শন দান হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারীর>>>>
কাঞ্চনপুর নিবাসি মুন্সি ছমি উদ্দিন তম্বয় মাহমুদ বলেন,আমার মামা মুন্সি লুৎফ আলী সাহেবের ওয়াহেদ আলী নামক এই ভৃত্য ছিল ।একদা তাঁর কঠিন জ্বর এসেছিল ।অসুস্থাবস্থায় আমি প্রায়শ তাকে দেখাশুনা করলাম।১৩২৩ হিজরির ২৩ জিলহজ্জ গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু'র বেছাল শরিফের সাতাশ দিন পরে তার জ্বর আসল।আমি মানবীয় প্রয়োজনীয়তা মিটানোর জন্য বাইরে গেলাম।শৌচকাজ সেরে ঘরেরে দিকে আসছি এমন সময় দেখলাম যে,হযরত গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু' রাস্তায় দাড়ানো এবং হযরতের খাস খাদেম মৌলবি আহমদ ছফা সাহেবও তাঁর চাদর মুবারক্ত নিয়ে পিছনে দাড়িয়ে আছে।আমি গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু'র সমীপে 'সাজদায়ে তাহিয়াহ' অভিবাদনের সাজদান সমাপনান্তে ঘরে তাশরিফ আনয়নের আবেদন জানাই।তিনি বললেন,'ঘরে গিয়ে ওয়াহেদ আলীর নিকট আগুন জ্বেলে দাও তার খুব শীত অনুভব হচ্ছে।আমি আদেশ পালনার্থে ঘরে গিয়ে কাজ সেরে শীঘ্রই যখন বেরিয়ে আসলাম তখন হযরত 'রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু'কে দেখতে পেলাম না।পরে অনেক খুজেও কোথাও নাগাল পাইনি।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, " আলো ছটালো জগৎ পরে যেই অবধি মোর সুলতান,
তপন সদৃশ উদ্ভাসিত চৌদিক ব্যপিত রৌশন।
বহু পুষ্প ফুটেছে জগতের এ গুলশান মাঝে,
জগৎ বাগে দেখনি কোথাও তবরুপ গুণ আনন।
যুগে যুগে কত বাদশাহ করে হেরে গেল বাদশাহী,
ভবালয়ে কভু কি কেউ হয়েছিল তোমার মতন?
জগত মাঝে কেউ কি কভু বুঝিতে পারে তব শান?
সুমহান আরশ তব পদব্রজে হয়েছে যে যিশান।
লংঘিতে নাহি পারে কেউ ঘাড় ফিরায়ে তব ফরমান,
আকাশ-পাতাল ব্যাপী সর্বত্রজারী সে ফরমান।
তোমার প্রেমের রক্তিম চিহ্ন হৃদে আমার করেছি ধারণ,
বক্ষ হল লোহিত পুষ্প আর যে দীপ্ত তপন।
হুর গেলমানের গলার হার প্রতি বিন্দু অশ্রুর,
মণি-মুক্তার খনি যবে হয়েছে তব প্রেমে এ নয়ন।
শহীদে খঞ্জরে আবরুপ তব আছে কি মরণে ভয়?
জানের বদলায় যদিরে পায় তব রূপ প্রাণের প্রাণ।
কৃপা বিতরে হে গাউসে ধন দাও এবে দর্শন দান,
অন্বেষীনে তোমায়েবে মকবুল হয়েছে হয়রান।"
সুবাহানাল্লাহ!!!!!!!। গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু'র উচ্চ শান ও মর্যাদা এতই বিস্তৃত যে,যদি প্রতিটি বৃক্ষ কলম হয় এবং তাঁর পাতা সমূহ কাগজ হয় আর সকল প্রাণী যদি লেখক হয়ে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত লিখতে থাকে তবুও সহস্রাংশের একাংশ লিখতে সক্ষম হবে না। আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, " সহস্র শ্রেষ্ঠত্বের প্রথম অনুচ্ছেদের প্রথম অণু যদি গণে,শত প্রলয় বহে যাবে হবে নাকো শেষ তাহা গণে।"