"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।
মারাজাল বাহরাইন চেরাগে গাউসুল আ'যম মাইজভান্ডারি বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি ক: এর জীবন-পর্বঃ (৫)
শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ'র স্বভাব ও প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে,তিনি একজন মহান ওলির সকল বৈশিষ্ঠের বাস্তব রুপকার।তিনি ছিলেন কুসুমের মত পবিত্র,ইহলৌকিক ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধশালী, অতুলনীয় দাতা,অনন্ত সুখের অধিকারি,নির্ভীক,জ্ঞানি মহান সম্মানের অধিকারি।তিনি চম্বুক সদৃশ আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন।উনার গরম বা ঠান্ডা সব ধরণের বাণী,বচন ও শিক্ষা আদর্শ জীবন গরে তোলার জনয,ঈমান ও বন্দেগীর জন্য দুর্লভ বিশেষ।শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ'র সুমহান ব্যাক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে 'কাহলিল জিব্রানের' ভাষায় বলি,"you are one of those gifted souls in whose hands Lord has placed viol to soothe the spirit with heavenly music and bring his fellowmen close to Life and the Beauty of Life.You are torch to light us on our way,a sweet longing in our hearts,and a revelation of the divine in our dreams."
(আপনি সেই গুণান্বিত রুহসমুহের অন্যতম,যাদের হাতে প্রভু তুলে দিয়েছেন বীণা,ঐশী সংগীতে জীবনের যন্ত্রণা উপশম করার জন্য এবং চতুষ্পার্শ্বের সবাইকে জীব ও জীবনের সৌন্দর্যের সান্নিধ্যে আকর্ষণের জনয।আপনি আমাদের চলার পথে আলোকনকারি মশাল,আমাদের হৃদয়ে মধুর আকাঙ্ক্ষা এবং আমাদের স্বপ্নে ঐশী প্রত্যাদেশ)[কানলিল জিব্রান]
শাহানশাহ বিশ্বঅলি হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী কঃ এর বাণীঃ
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জাহের বাতেন আলম সমূহের পরিচালক পদে নিযুক্ত এবং গাউসিয়ত ও কুতুবিয়ত উভয় মর্যাদা অর্জনের মাধ্যমে (উত্তরাধিকার রুপে) পদবান হয়ে বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর হুকুমে যে কালাম সমূহ করেছেন, তার কিয়দাংশ জীবনী শরীফে উল্লেখ আছে এবং এগুলোর কিছু কালাম সকলের কাছে বোধগম্য আবার কিছু কালাম রহস্যময়। নিম্নে কালামগুলো উল্লেখ করা হল-
১) আমাকে চিন? আমি হযরত কেবলা কাবা, স্বয়ংসম্পূর্ন, কোন অংশে কম নই।
২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম গাউসিয়তের দুই তাজের একটি হযরত আবদুল কাদের জিলানী (ক.), অন্যটি হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) কে দিয়েছেন, যেটি পরে আমি পেয়েছি।
৩) আল্লাহ ও রাসূলের মধ্যে কি কোন ভিন্নতা আছে? আমরা দু’জনের মধ্যে নাই; হাসান মিয়া আল্লাহর মস্ত বড় অলি।
৪ )আমার হাসান মিয়া আল্লাহর মস্ত বড় অলি।, মানুষের কল্যানের জন্য এসেছেন, একটু ইজ্জত সম্মান করবেন।
৫) খাওয়ার জন্য শিশুরা এখন একটু দুধ পাচ্ছেনা। আমার হাসান মিঞা না বাঁচলে দুনিয়াতে কোন শিশু বাঁচবেনা।
৬) আল্লাহর অলিরা মানুষের রূহানী পিতা। তাই বাবা বলে ডাকা উচিৎ। নতুবা ফয়েজ রহমত পাওয়া যায়না।
৭) আমি মারা যাইনি, আল্লাহর অলিরা মরেনা।
৮) আমার কল্বে আল্লাহ ছাড়া কিছু নাই, আমরা নজরানার কাতর নই, কাজের প্রয়োজনে নানা স্থানে অবস্থান করি।
৯) মক্কা শরীফ, মদিনা শরীফ, বাগদাদ শরীফ, আজমির শরীফ আমাদের পুরান বাড়ী।
১০) আমার দরবার প্রাচ্যের বায়তুল মোকাদ্দেস-আল্লাহর ঘর, সকল জাতির মিলন কেন্দ্র।
১১) আমার রওজা নির্মানের জন্য যারা এক টাকা কিংবা একটি নুড়ি পাথরও দেবে তা রওজা শরীফে লাগবে। তাদেরকে আমি দুনিয়া হাশর নশর সবখানে সাহায্য করবো।
১২) কষ্ট করে অতদূরে কিসের জন্য যাচ্ছেন? দুনিয়াতে চাওয়ার এমন কি আছে আমরা দিতে পারিনা?
১৩) দরবার হতে কিছু পেতে হলে ভক্তি শ্রদ্ধায় মানতে হয় এবং সাধ্য অনুসারে নিয়ত মানত করে চাইলেই আশা পূর্ণ হয়।
১৪) চাকুরীর প্রমোশন, ব্যবসার উন্নতি, নিঃসন্তানের সন্তান লাভ, পারিবারিক শান্তি, দুঃসহ রোগমুক্তি, মান-সম্মান, সম্পদ-দুনিয়াবী (পার্থিব) সব কিছুর জন্য একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে আমার ঘেরা বেড়াকে বলে গেলেও কাজ হবে।
১৫) দুনিয়াতে এমন কি আছে আমরা দিতে পারিনা? আপনি কি কিছু কম পেয়েছেন?
১৬) লোকেরা আমার কাছে আসে- কার সন্তান হয়না, চাকুরীর প্রমোশন কোথায় ঠেকে গেছে, কার ব্যবসা মন্দা, কোন রোগ চিকিৎসায় সারে না, এসব প্রতিকারের আশায়। আল্লাহ্ তলবী কেউ আসেনা।
১৭) গ্রামে গঞ্জে শহরে এলাকায় দায়রা শরীফ গড়ে তুলুন। আমি সেখানে ২০ ওয়াট, ৪০ ওয়াট ও ৬০ ওয়াট বাল্ব দেবো।
১৮) নিজের ভিতর দৃষ্টি দাও, বহির্জগতের চেয়েও অপরূপ সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখতে পাবে।
১৯) মাইজভাণ্ডার শরীফে একটা মোমবাতি জ্বলছে, সে মোমবাতির আলোয় সব জায়গা আলোকিত। সে বাতির আলোয় মানুষেরা পোকার মত উড়ে উড়ে পড়ছে।
২০) এ দুনিয়া তো মুসাফিত খানা! হুজরা শরীফ নির্দিষ্ট কোন জায়গা নয়। আওলিয়ারা এক এক সময় এক এক স্থানে বিরাজ করেন।
২১) মঙ্গলের জন্যই তো আল্লাহ দেশ-দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। অমঙ্গল হবে কেন? দেখছেন না আল্লাহর রহমত অবিরত বর্ষিত হচ্ছে!
২২) ভয়, বিশ্বাস ও আদবের সাথে যারা এই দরবারের ঘেরার মধ্যে প্রবেশ করবে, সকলে মুরিদ।
২৩) এই দরবারে ভক্তিক্ত বিশ্বাসে যারা আসে সবাই মুরিদ।
২৪) একটি আর্জেন্ট তরিকা নিলাম। আমি যে কাজটা করি কড়া ভাবেই করি এবং তাতে উপকার আসে।
২৫) এ বিল্ডিং (শান্তি কুন্জ) এর সবখানে আমি থাকবে। এটা ডি.সি. অফিস- ডিবিশনাল কমিশনার অফিস। ইন্টারন্যাশনাল ডিবিশনাল মার্শাল ল’ অফিস।
২৬) আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখব। আমার এ করুণাধারা জীবন মরণ হাশর পর্যন্ত।
২৭) আমার তরিকা দুই পয়সার নয়, কোটি কোটি গুন বড়।
২৮) আমাকে বুঝতে হলে কুরআন দেখ।
২৯) রাহমাতুল্লিল আলামীন রাসূলের রহমতের সীমা জুড়ে আমার বেলায়তি কর্মক্ষমতা।
৩০) আমার দরবার আন্তর্জাতিক প্রশাসন অফিস, যেখান থেকে এই বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।
৩০) এ বিশ্বের ৫শ কোটি মানুষ আমিই তো চালাই।
৩১) এই বিশ্বের কোথায় কখন কি হয়েছে, হচ্ছে, হবে সব আমার জানা আছে।
৩২) আকাশের উপরে বসে আমি সৃষ্টির কাজকর্ম দেখি; উপরের দিকে আল্লাহর সাথে কথা বলি।
৩৩) আমার দরবার আন্তর্জাতিক সামরিক আইন প্রশাসন অফিস। দুনিয়ার সবকিছু আমি ভেঙ্গেচুরে ঠিক করি।
৩৪) মাইজভাণ্ডার শরীফ হায়াতের ভাণ্ডার, রিজিকের ভাণ্ডার, দৌলতের ভাণ্ডার, ইজ্জতের ভাণ্ডার, সেখানে কোন কিছুর অভাব নাই।
৩৫) ভাণ্ডারী যেদিকে তাকায়, যাদের দিকে তাকায়, তাদের কি কোন অসুবিধা পারে?
৩৬) কাজের জন্যই জগত জীবন ও আল্লাহ-রাসূলের বিধান। যে কোন ভাল কাজ আল্লাহর ইবাদত।
৩৭) কোর্ট ফি ছাড়া কি আদালত মামলার আর্জি গ্রহণ করে? নিজের জন্য নয়, টাকা দেওয়া নেওয়া করি মানুষের প্রয়োজনে।
৩৮) সব টাকা ভাল নয়, তাই পুড়তে হয়।
৩৯) এ টাকা আপনার নয়; আল্লাহর টাকা, আপনার কি টাকা! বুঝতে চেষ্টা করুন, নতুবা আমি মারবো।
৪০) সব টাকা ভাল নয়, তাই পুড়তে হয়।
৪১) পকেটে এক টাকা নাই, লাখ লাখ টাকার গল্প করে এমন লোক থেকে দূরে থাকবে।
৪২) মনে রাখবেন, পরস্পর সহযোগিতা ছাড়া সমাজে কেউ একা বাঁচতে পারেনা।
৪৩) লতা কি গাছ ছাড়া উঠতে পারে? আল্লাহ কি বান্দা ছাড়া থাকতে পারে?
৪৪) পিতা-মাতা চালক নয় – সাথী। চালক আল্লাহ, আমরা আছি না?
৪৫) ধনী-গরীব কোন কথা নয়, সবাই মানুষ, মানুষে মানুষে প্রীতিভাব থাকা প্রয়োজন।
৪৬) এটাই আমাদের নীতি, কেউ খারাপ করলেও তাদের ভাল করা।
৪৭) A man can not live in society without co-operation.
৪৮) মানুষের সেবা করাও আল্লাহর এবাদত।
৪৯) দরবারে হিন্দু-মুসলমান কোন ভেদাভেদ নাই। সব এক আল্লাহর সৃষ্টি।
৫০) আল্লাহ জন্ম গ্রহণ করেন না এবং কাউকে জন্মও দেননা। অথচ তিনিই তো জন্মদাতা-সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির এ রহস্য কয়জনে বুঝে জী।
৫১) মহব্বতের লোকজনদের দেখা শুনা না করলে মহব্বত মরে যায়।
৫২) রূহের মত মহব্বত (ভালবাসা)ও আল্লাহর নূর, রূহ যেমন দেখা যায়না মহব্বতও তেমনি অদৃশ্য। রূহ দেহের সাথে, মহব্বত মানুষসহ সকল কিছুর সাথে সম্পর্কিত।
৫৩) আমরা কি টাকা রোজগার করতে এসেছি? টাকা-কড়ি দুনিয়া পূজার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি। টাকা পয়সা জীবনকে কলুষিত করে; আল্লাহর সম্পর্ক ভুলিয়ে রাখে। অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদ মাত্রই কলুষিত।
৫৪) মানুষ আমার কাছে আসে টাকার জন্য, চাকুরীর জন্য, ব্যবসার উন্নতির জন্য, রোগ থেকে মুক্তিক্ত ইত্যাদি দুনিয়াবী লাভের আশায়। ওসব পার্থিব ব্যাপারে কি এত কাছে আসতে হয়? গেটের বাইর হতে বাতি একটা জ্বালিয়ে আমার ঘেরা বেড়াকে বলে গেলেও কাজ হয়ে যায়। আল্লাহর খোঁজে, হেদায়তের জন্য কেউ আসেনা।
৫৫) কৌশলে কঠোর কঠিন কাজও সহজে করা যায়।
৫৬) নট টাইম, উই ওয়াচ্ মুভমেন্ট- সময় নয়, আমরা গতিকেই পর্যবেক্ষণ করি।
৫৭) মাইজভাণ্ডার ইজ এন ওশান, ডোন্ট থিংক ইট আদার ওয়াইজ। (যেমন তেমন ভেবোনা, মাইজভাণ্ডার এক অনন্ত সাগর)
৫৮) জ্ঞানের যে সাধনা মনে উদারতা ও চরিত্রে দৃঢ়তা আনে সেটাই সটিক জ্ঞান।
৫৯) শিশুরা মাসুম, আল্লাহর অলি।
৬০) শিশু-কিশোরদের দরবারে আনা নেওয়া ভাল। এতে তারা আদব-আখলাক বুঝ-জ্ঞান দয়া রহমত পাবে।
৬১) ওবা নামাজ পড়বেন। ভাত খেলে নামাজ পড়তে হয়।
৬২) নিয়মিত নামাজ রোজায় অভ্যস্থ হলে আয় বৃদ্ধি, রোগশোক মুক্তি ও দেহমন সুস্থ থাকে।
৬৩) হালাল খাও, নামাজ পড়, আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর, সব সমস্যা মিটে যাবে।
৬৪) নামাজ আল্লাহর হিকমত। নামাজ না পড়লে হিকমতের ক্ষতি হয়।
৬৫) নামাজ পড়বেন, সমস্যা থাকবেনা।
৬৬) হজ্বের টাকায় দুঃস্থ মানুষের সেবা হজ্বে আকবর।
৬৭) মিয়া! পুলসিরাত দৌলতছে নেহী- ঈমানছে পার হো চেকতি।
৬৮) সূর্য কবে ঊঠে গেছে, ওহাবী শিবির কিছুই করতে পারবে না।
৬৯) ওহাবী আলেমদের পিছনে নামাজ পড়বেন না, তাদের ঈমান নাই।
৭০) আল্লাহর সৃষ্টি বড় বৈচিত্রময়, সৃষ্টি অবলোকন করছি। সৃষ্টিকে অবলোকন করবেন, তাতে জ্ঞান হয়।
৭১) ভাণ্ডারী কোথাও বিনা প্রয়োজনে যায়না; সৃষ্টির কল্যাণে নানা স্থানে ঘুরি ফিরি। জাহের বাতেন জিয়ার হুকুমত।
৭২) সে তো চাকর ছেলে, সে কি রাষ্ট্র চালাবে? রাষ্ট্র তো আমিই চালাই।
৭৩) হে বিশ্ব মুসলিম! আমার দিকে তাকাও! বিশ্ব মুসলমানদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মুসলিম লীগ (মুসলিম ঐক্য) গড়তে হবে।
৭৪) আমার একটা প্রশাসন আছে, যেখান থেকে এ বিশ্ব পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত।
৭৫) আমার দরবার আন্তর্জাতিক সামরিক আইন প্রশাসন অফিস, আমি ভেঙ্গে চুরে সব ঠিক করি।
৭৬) গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারীর এদেশ গরীব নয়, ধনী।
৭৭) আমি এখানে (মক্কা শরীফ) ও মাইজভাণ্ডার শরীফ উভয় স্থানে থাকি।
৭৮) এক মূহুর্তে জগতকে পানি করে আবার বানাতে পারি, এমন ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।
৭৯) I AM THE POWER.
(চলবে)