"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

গাউসুল আ’যম মাইজভান্ডারি এর কেরামত পর্বঃ ৬ (আয়নায়ে বারি)

হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারীর নামের গুণে দুষ্ট জিনের কবল থেকে রক্ষা>>>>>
হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী 'রদ্বিয়াল্লাহ আনহু'র ভ্রাতুষ্পুত্র জনাম আব্দুল হাশেম (দাঃ বাঃ)বলেন,একদা আমি জ্বরের প্রকোপে অতিশয় দুর্বল হয়ে গিয়েছিলাম।আমার বড় ভাই জনাব শাহ গোলাম সুবহান সাহেব (দাঃ বাঃ) গরুর জন্য ঘাস কেটে এক স্থানে জমা রেখেছেন।অন্য লোকেন গরু এসে ঐ গুলো খেয়ে চলে গেল।এতে তিনি আমাকে সধমকে আচ্ছা বকা বকলেন।বোকা শুনে আমার রাগ আসল।আমাদের বাড়ির পশ্চিমে বিনাজুরি ছড়ির নিকটে ঝিলের মধ্যে সতেজ ও লম্বা ঘাস ছিল প্রচুর।বেলা ঠিক দ্বি-প্রহরে একটি বড় চুপড়ি ও কাঁচি নিয়ে ঘাস কেটে নিয়ে আসার জন্য ঐদিকে যাচ্ছিলাম।এমন সময় হযরত গাউসুল আ'যম 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' হুজরা শরিফ থেকে দায়রা শরিফে তাশরিফ আনতেই আমাকে সম্মুখে ডাকলেন।আমি শীঘ্রই পদচুম্বন পূর্বক খেদমতে মশগুল হয়ে গেলাম এবং পাখা ঘুরাতে লাগলাম।কিছুক্ষণ
পর হযরত গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' আমাকে তামাক সাজাতে বললে আমি পাখা অন্যজনকে দিয়ে হুজরা শরিফ থেকে তামাক সাজায়ে নিয়ে এলাম।হযরত 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' হুক্কাতে তামাক সেবনে রত হলেন।আমি পাখাকারি ব্যাক্তিটিকে সতর্ক করে বললাম,খবরদার! আমি না আসা পর্যন্ত তুমি আমি পাখা ঘুরাতে থাকবে।একথা বলে সাজদায়ে তাহিয়াহ আদায় পূর্বক ঘাস কাটার জন্য বিলের দিকে চলে গেলাম।বিলে গিয়ে ঘাস কাটায় লেগে গেলাম।তখন দেখতে পেলাম আমি ঘাস কেটে টুকরিতে যতই জমা করি ঘাস কমতেই আছে।এভাবে কয়েক বার হলে ব্যাপারটি বুঝে আমি সতর্ক হলাম।এখানে এক দুষ্ট জিন সদা থাকে এবং মানুষকে কষ্ট দেয়।আমার কর্তিত ঘাসের হ্রাস যে,সে জিনের তিলিসমাতি,তা অনুধাবন করে বললাম।হে দুষ্ট তুমি গাউসুল্লাহিল আ'যমের সাথেও কি বেয়াদবি শুরু করলে? খবরদার পুনঃরায় যদি এমনটি করো তবে অবশ্যই তোমাকে সাজা পেতে হবে।একথা বলে আমি গাউসিয়তের তরবারি মনের হস্তে নিয়ে পূর্বের মত ঘাস কাটায় মগ্ন হলাম।এমনি মুহূর্তে ঐ জিন আমার এক প্রতিবেশীর আকৃতিতে দৃশ্যমান হয়ে আমাকে বলল, 'তুমি শমশীরে গাউসিয়া তথা গাউসিয়তের তলোয়ার হস্তে ধারণ করেছো, অন্যথায় তোমার সাথে মোকাবেলা করতাম।আমি তাঁকে গালমন্দ বলে যতটুকু ঘাস কেটেছি তা নিয়ে সেখান হতে ঘরের দিকে রাওয়ানা হলাম।আমি যে পথে সেথায় গিয়েছিলাম সে পথে তাঁর জোর-জবরদস্তির পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল। আর ঐ জিন আমাকে উক্ত পথ হয়ে আসার পরামর্শ দিল।আমি সে রাস্তা ত্যাগ করে অন্য পথে আমার বাড়ির পার্শ্বের এক পুকুর পাড় দিতে আসতেছিলাম।এক মহিলা আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করল, 'আপনার পিছু পিছু শুকর আকৃতির এটা কি আসতেছে? এক কথা বলে মহিলাটি নিজ ঘরে চলে গেল।আমি ঘাসের টুকরি ওখানে রেখে যখনই পিছন ফিরে দেখলাম তখন কিছুই দেখতে পেলাম না।অতঃপর যখন ঘাসের টুকরির দিকে দেখলাম তখন দেখতে পেলাম,আমি যত ঘাস কেটেছিলাম এবং সে জিন যা চুরি করে রেখেছিল সবই এনে দিলামি এ ঘটনা দেখে ঘাসের টুকরি তুলে নিয়ে চলে আসার মনস্থ করলে দেখি,এটা,এতই ভারি হয়ে গেল যে,আমি উঠাতে পারছিলাম না,কোনমতে সেখান থেকে নিয়ে এক স্থানেরেখে পবিত্রার্জন পূর্বক শীঘ্রই গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' খেদমতে উপস্থিত দেখতে পেলাম তিনি এখন ও আমার সাজিয়ে দেয়া তামাকটুকু সেবন করেই চলছেন।আমি যখন কদমবুসি করলাম তখন জিজ্ঞাসা করলেন, "ইনি কি বাঁচা মিয়া? আমি বললাম ।হ্যাঁ হুজুর! আমি বাঁচা মিয়া।" (হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারী 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' শাহ মুহাম্মদ হাশেম সাহেবকে বাঁচা মিয়া ডাকতেন)। উত্তর শুনে বললেন, "কোথায় গিয়েছিলে? এত ঘর্ম কেন আসল? " এ কথা বলে এরশাদ করলেন, 'হারামযাদা বৈরাগী আমার ছেলেকে কষ্ট দিতে চায়?" অতঃপর হযরত গাউসে পাক 'রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু' হুজরা শরিফে তাশরিফ নিয়ে গেলেন এবং উপস্থিত ভক্ত-অনুরক্তগণও চলে গেলেন।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, " দিল-ঈমানে যে আস্তানায় এসেছে,ধবংসকূপ থেকে সে আকাশে উঠেছে।
জগতে প্রসিদ্ধ হবে যে স্বচ্ছ অন্তরে,তোমার পাক নাম সদা মুখে রেখেছে।
জগতে তাঁর কি যে,আর ভয়-ভীতি? নিরাপদ দ্বারে তব আশ্রয় যে নিয়েছে।
দুঃখ কষ্টে যে নিয়েছে, তোমার নাম,তব কৃপাদৃষ্টিতে আনন্দ-প্রফুল্লতা পেয়েছে।
তোমার দরবারের আলীশান আদেশ,মানব-দানব সবার পরে জারী রয়েছে।
তোমারই হুকুম আল্লাহর নির্দেশ জগতে,তবরূপ কোন বাদশাহ নাইকো আছে।
শাহা তব দ্বারে করেছে যে আহাজারি,সকল কর্মে সে সফলকাম হয়েছে।
মকবুল বেদিল তব হই যে,প্রাণহারা তব সত্ত্বা প্রাণের প্রাণ "