"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

গাউসুল আ’যম মাইজভান্ডারি এর কেরামত পর্বঃ ৫ (আয়নায়ে বারি)

--->হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভাণ্ডারীর নাম স্মরণে বাঘের কবল থেকে মুক্তি>>>>>
এক ব্যাক্তি,বরিশাল নাকি ফরিদপুর নিবাসি ছিল অধমের (লেখকের)এ মুহূর্তে সঠিক মনে নেই।সে নিজেই হযরত হুযুর পুর নুরে গাউসিয়ার দপ্তর খানায় বসে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।এ নগণ্য (লেখক) অন্যান্য সাথীসহ শুনতে ছিলাম।বললেন,” আমি বহুদিন ধরে আস্তানা শরিফ চুম্বন ও ফায়েজপূর্ণ,গাউসিয়তের স্মারক দরবারে পাকে ললাট ঘর্ষণের আকাংখায় ছিলাম।কিন্তু বিশ্বাসঘাতক দুনিয়ার সম্পর্ক ও ক্ষণস্থায়ি কালের ঘূর্ণিপাকে আস্তানা শরিফে উপস্থিত হতে পারি নি।দীর্ঘ সময় ও কাল পরে দরবারের প্রেম মত্ততায় এত বেশি আকর্ষিত হলাম যে,ক্ষণিকের জন্যও নিজ নিবাসে অবস্থান সম্ভব হল না।
পরিশেষে মিলন উম্মাদনায় অস্থির হয়ে পতঙ্গের ন্যায় সফরের পথ ধরলাম।আপন সফরের চতুর্থ দিনে আজ গাউসুল আ’যমের কৃপা দৃষ্টির বরকতে এখানে এসে পৌঁছি।আমি আপন ঠিকানা থেকে বের হয়ে ভালবাসার বাহনে চড়ে পথ অতিক্রম করে চললাম।পথিমধ্যে পায়খানার হাজত হল।জঙ্গল নিকটেই ছিল,একটি ঝাড়ের আড়ালে হাজত সারার জন্য বসে গেলাম।এমতাবস্থায় একটি বৃহৎকার সবল বাঘ আমার উপর হামলা করল।হঠাৎ দেখতে পেলাম একজন সম্মানিত শেখ পবিত্রতার পাত্র (লোটা-বদনা) হাতে নিয়ে আবির্ভূত হলেন এবং (লোটা-বদনা)টি বাঘের নাকে নিক্ষেপ করলেন,এতে বাঘটি পালিয়ে গেল।ঐ বুজুর্গ অদৃশ্য হয়ে গেল এদিকে আমিও প্রাণ নিয়ে সত্বর প্রস্থান করলাম।ঐ বুজুর্গ কে ছিলেন? উদ্দেশ্য পথে ওখান থেকে শীঘ্রই যাত্রা দিলাম।আজ গাউসুল আযমের সাক্ষাত লাভের মাধ্যমে উভয় জগতের কল্যাণ ও সৌভাগ্য অর্জনে ধন্য হলাম।যখনই জগতপতির সৌন্দর্য রবির আলোক রশ্মির প্রতিবিম্ব হুযুর পুর নুরের সাক্ষাতে অন্তর চক্ষু আলোকিত হল তখন প্রতীয়মান হল যে,অই বুজুর্গ আমাদের কুতুবুল্লাহিল আফখম গাউসুল্লাহিল আ’যম মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবা কঃ ই ছিলেন।সুবাহানাল্লাহ...
বেলায়তের দীপ শিখার পতঙ্গ ও গাউসিয়তের সৌন্দর্য প্রাণ উৎসর্গকারীদের জন্য শুভ সংবাদ যে,গাউসিয়তের দয়া-অনুগ্রহের পরিবেষ্টন যখন তাঁর প্রেম-ভালবাসার বেদনা উদ্যানে ভ্রাম্যমানদেরকে সদা-সর্বদা প্রকাশ্য শত্রু ও ভয়ংকর হিংস্র প্রাণীর থাবা থেকে রক্ষা করে ইহকালে রাজকীয় ছত্র-ছায়ার সুরক্ষা ও তাঁর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দুর্গে আশ্রয় দেন,তবে সুদৃঢ় প্রত্যাশা ও নিশ্চিত ভরসা যে,কিয়ামতের ভীতিপ্রদ অবস্থাও তাঁর বিচ্ছেদ-বেদনায় হয়রায়-পেরেশান ও দরদে মহব্বতের তৃষ্ণার্ত আকাংখীদেরকে মঞ্জিল পথের সকল শত্রু ও বাঁধা-বিপত্তি থেকে রক্ষা করে নূরানী কদম তলে স্থান প্রদান পূর্বক আপন দীদার দানে শান্ত ও স্থির ফরমাবেন।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ,
“আজব উচ্চতা আজম শক্তি মান সম্মান তোমার,
আজব মর্যাদা আজব মনজিল আজব দরবার তোমার,
আজব শান আজব শওকত আজব রুতবাহ শাহ তোমার,
বাস্তবে রবি-শশী অণু যে তব মহান আস্তানার।
সুন্দর্য রাজ্যের তুমি উচ্চ মর্যাদাবান সে সুলতান,
অন্তরে আর চুক্ষে হল যে,নুরানি আসন তোমার।
দয়া-দানের উৎস তুমি রহমতের খনি তুমি,
দান-দাক্ষিণ্য তব সাক্ষী দানশীলতা পরে তোমার।
ফুল্লতার আকাশে তারকা রূপ চমকিবে সদা,
দিল-ঈমানে যে হয়েছে ধুলি-বালি তব রাস্তার।
মুসিবতে আর ফিতনার কালে নিবে যে নাম তোমার,
ফিৎনা সকল দূর হবে দয়ার দৃষ্টিতে তোমার।
তব আলীশান দরবারের গোলাম হলে অন্তরে,
প্রজা হবে রাজা দয়া-কৃপার নজরে তোমার।
যদিও হয় বিন্দু পলকে সিন্ধু হবে সে,
করুণাপ্রার্থী হবে যদি,রহমতের দ্বারে তোমার।
পলকহীন পিঁপড়া তব দ্বারে যদিচ আসে শাহা,
নিশ্বাসে ‘ হুমা’ হবে হলে দয়া-দৃষ্টি তোমার।
দ্বারের গোলাম হয় যদিও অতি গুনাহগার,
কৃষ্ণকর্মফর্দ শুভ্র হবে কৃপার নজরে তোমার।
দুই কূলের মুসিবতে নেইকো ডর তাঁর শাহা,
সত্য অন্তরে আশ্রয় নিল যে দামান তলে তোমার।
হয় যদি খড় তব আস্তানা শরীফের বারান্দার,
লৌহ পাহাড় হবে নিশ্চয় দয়ানুগ্রহে যে তোমার।
হে গাউসুল্লাহিল আ’যম হীন মকবুলও তব,
দরবারের গোলাম হই ভরসা দয়া পরে তোমার” ।