"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

গাউসুল আ’যম মাইজভান্ডারি এর কেরামত পর্বঃ ১ (আয়ানায়ে বারী হতে)

হযরত গাউসুল আ'যম মাইজভান্ডারির জ্যাোতিতে মোরাকাবায় এক ব্যাক্তি জ্বলে ভস্ম হয়ে ফানা হবার বর্ণনা
কারামাতের ঠিকানা যোগাযোগস্থল,মাও
লানা শাহ আমিনুল হক ওয়াদদিন,কাদ্দাসা সিররাহু রাব্বুল আলামিন যিনি হযরত গাউসে পাক আহমদ উল্লাহ শাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র আপন ভ্রাতুষ্পুত্রে ও বিশুদ্ধভাষি এবং অনুপম বাকপটু ছিলেন।তিনি তেজস্বী বর্ণনাকে এ হৃদয়গ্রাহ্য ময়দানে মনোহর ভাষায় এ ভাবেই উপস্থাপন করেন যে আমাদের হযরত,গাউছিয়তের ধারক ও কুতুবিয়তের বাহক প্রায় চল্লিশ বছর যাবৎ সম্পূর্ণরূপে একত্ববাদের মদে আত্মহারা ছিলেন।সদা আল্লাহর সুন্দর্য পর্যবেক্ষণ সাগরে বাস্তব প্রত্যক্ষকারি রূপে এমন ভাবে নিমজ্জিত থাকতেন যে,গাইরুল্লাহর দিকে চক্ষু তুলে দেখতেন না। সর্বদা " مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَى" অর্থাৎ দৃষ্টি টলেও নি আর অগ্রসর ও হয় নি" (সুরা ওয়ান নাজমে ১৭নং আয়াত)।এর নীতিতে বিদ্যমান ছিলেন এবং دَنَا فَتَدَلَّىفَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى অর্থাৎ নিকটবর্তী হল অতঃপর দুই তীর ধনুকের পরিমাণ অথবা আরো নিকটবর্তী হল (সুরা ওয়াননাজমে ৮-৯ নং) ,এর মর্মমতে নৈকট্যের উচ্চাসনে সর্বদা সমাসীন থেকে আল্লাহর নূরী তজল্লিয়াতের প্রত্যেক্ষদর্শী থাকতেন।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, " সে নুরে জমালি অতে কভু বেখবর না হবো,প্রিয়ার গলী ছেড়ে দূরে কোথাও নাহি যাবো। স্থির দৃষ্টির সুরমা হতে সুরমাকরষণকারি থাকবো,তজল্লীর চমক থেকে কভু দৃষ্টি নাহি ফিরাবো।"গাউসুল আ'যম মাইজভান্ডারি 'রাদ্বিয়ানহুল্লাহুল বারি'র উচ্চ কামালাত ও মহান মর্যাদার প্রসিদ্ধি শুনে দূর-দূরান্ত থেকে খোদাপথ তালাশকারি ,হেদায়েতের শরাব খানার তৃষ্ণার্ত,অন্বেষণাগ্নিতে ভস্মাহৃদয় ও প্রেম-প্রেরণার মদে পূর্ণমত্তগণ মহান আল্লাহর এই প্রজ্বলিত দীপ্তির উপর পতঙ্গপালের ন্যায় জীবন দিতে শুরু করল।রহমতে পূর্ণ এ গুলবাগিচা থেকে বাতেনি ভাবে আশা-আকাংখার পুষ্পরাজি বিহীন রিক্ত ফেরাতো অসম্ভব,কিন্তু দৃশ্যত মনোযোগ না পাওয়ার কারণে জাহেরী তালেবগণের অন্তরে অত্যন্ত বিষন্নতা ছিল।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ," মোদের প্রেমিক প্রবরের মুখোজ্যাোতি,যবে প্রতিঘরে দীপ্ত হল,জগতের প্রেমিক সবের প্রাণ,সে শিখায় যে পতঙ্গ হল।দয়ার স্বভাব এ উদ্যানে,পাতল যে ভিক্ষার দু'হাত,রিক্ত ফিরবেনা কভু সে,ভিখারি হইয়ো নাকো আশাহত"।
একদা পাঞ্চাব বংশোভূত,উদ্দেশিত তালাশকারি ,জানবাজ আশেক সকাতর নিবেদিত,বিরহাগ্নিতে,দ্রবীভুত,বিদগ্ধ রহস্যজ্ঞানি বন্ধুর প্রেমে পাগলপারা,মিলন শরাবের তৃষ্ণার্ত শেখ আহমদ নামক এক ব্যাক্তি বন-জঙ্গল ঘুরে ঘুরে জল-স্থল অতিক্রম করে পাগল ও পতঙ্গের ন্যায় অতু্ৎসাহে গাউছিয়তের ভাস্কর হযরতে আকদছের দরবারে এসে উপস্থিত হন।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ,” পড়ল কেমনে হৃদয় দর্পণে কঠিন সে পাথর,হল যে সে ক্ষণে চূর্ণ-বিচূর্ণ আমার অন্তর বন-অরণ্যে শহরে প্রান্তরে খুজেছি সবখানে, অন্বেষীয়ে পাইনি কোথাও হারা মন যে আমার।খঞ্জরে আবরুতে করিয়ে যবেহ মারিল প্রাণে,যায় না আর সহা হৃদয়ের আনচান আমার।লাগল যবে অন্তরে মোর প্রেমের সে আগুন,অণুর বরণ উড়িল জ্বলে ভস্ম মন আমার”।