"মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ",আতুরার ডিপো হাসেম বাজার শাখা। অস্থায়ী ঠিকানাঃখালেদা-মাহমুদা ম্যানশন,সঙ্গীত রোড,পাঁচলাইশ,চট্ট্রগ্রাম. আলাপনী-০১৮৩৮৬৩৭৬৯৮।ই-মেইলঃhoqcommity@gmail.com।

গাউসুল আ’যম মাইজভান্ডারি এর কেরামত পর্বঃ ২ (আয়নায়ে বারি)

আয়নায়ে বারি (মূল  তে উল্লেখ,“দিল হল অগ্নিকুন্ড প্রেমানলে,সোনার
অঙ্গ হল যে ছাই জ্বলিয়ে এবার।তপন তুল্য আনন দেখিলাম যবে,লুকিয়ে গেল তারা যেমন হারা মন আমার।পাগল মন চল এবে যাই মাইজভান্ডারে,দেখা হবে সেথায় তব প্রাণ-প্রিয়ার।মকবুলের এবে নাওহে খবর সে ভগ্নান্তর,এনেছি তা দেখাতে তোমায় খোল রুদ্ধদ্বার”।
পূর্ণ এক সপ্তাহ আবেদনের ললাট ফায়েজপূর্ণ আস্তানার চিত্তমুগ্ধকারক দরজায় ঘর্ষণ করতেছিল,কিন্তু গাউছিয়তের দয়ার সাগর তরঙ্গিত হয়নি।পরিশেষে এক সপ্তাহ পর হযরত গাউসে পাক হযরত কেবলা কঃ ভক্ত-অনুরক্ত সমেত দায়রা শরিফে তাশরিফ আনয়ন করছেন।এমনি মুহূর্তে উক্ত শেখ আহমদ পতঙ্গের ন্যায়
গাউসে পাকের পূর্ণোজ্জল আলোতে মনোপ্রাণ উৎস্বর্গিত হয়ে চরণ যুগল আঁকড়েধরল এবং অতি অনুনয়-বিনয় কাতরতা ও আকুলতায় বাঞ্চিত মিলন পেয়ালার প্রত্যেক্ষদর্শী হল।পরিপূর্ণ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রান্তিক কাতরতায় সুমহান দরবারে এভাবে আরজ গুজার হলেন।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ,“প্রাণ প্রিয়ার নামের আদযাক্ষর ছদকায়,মনোপ্রাণ,দ্বীন ফেদা পরে সে শক্তি সাগর।মুরশিদ আমার আকা ‘মাওলা মুখতার,সদা এই ভিখারি তব দয়া-কৃপাক্ষণার যুলায়খা বরন তোমার প্রেমের বাজার,এসেছি নিকলে শীঘ্র উঠাও আড়াল লজ্জার।দিলী মকছুদের কেবলা-কাবা আস্তানা তোমার,তাওয়াফ করবোনা হরদমে কভু হরমে কাবার,বাগে জান্নাত থেকে উত্তম গলী যে তোমার,বাসনা নেই অন্তরে মোর জান্নাতে যাবার।অহরহ মনে জাগে বাসনা আমার,প্রেমে হই লীন নূরী কদমে তোমার।শাহদাতের কামনা নিয়ে এলাম জগৎ মাঝার,সম্মানের খঞ্জরে সেই ইমাম শাহার।রাঙ্গাপুষ্পের মত চিহ্ন নিয়ে যাবো কবর,যাবৎ না কুরবান হই নূরী কদম উপর।খেদমতে মাথা নত বেদিলের হোক মকবুল।আপনার কদম তলে যে পদচিহ্ন আপনার”।
(একশিয়োমেট্রিক ট্রুথ) স্বতঃসিদ্ধ সত্য যে প্রেমাষ্পদেরা হৃদয়গ্রাহী প্রেম ছলনা কভু ছাড়েন না এবং দিল দারা প্রেমিকদের সকাতর প্রার্থনা কখনো দমিত হয় না।এদিক থেকে সর্বদা জীবন বাজি অপর দিক থেকে সদা বেনিয়াযি,একদিক থেকে প্রতি মুহূর্তে “রাব্বি আরনি” ,হে প্রভু আমাকে দর্শন দাও এবং অপরদিক থেকে সর্বদা “লান তারানি”,রুমি কভু আমাকে দেখবে না” এর তারানা।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, “ এই দুইটি কতই উত্তপ্ত প্রেমের বাজার? তোমার হুসন ও ইশকের শরাবে সবই আত্মহার।কত উচ্চ তব সুন্দর্য ও প্রেমের রাজ দরবার,যেদিক দেখিবে তব হুসন ও ইশকের দরবার।ঘুঘু,কোকিল ও তুতী সবের এ আযকার,পুষ্পডালে বুলবুলদের কণ্ঠে এ ঘোষণা বারবার।একদিকে সকাতর প্রার্থনা অন্যদিকে প্রেমছলনা,একদিকেতে শহীদ আর অপরদ দিকে তলোয়ার।একদিকে লনতরানি লনতরানীরই ঠমক,অপরদিকে রব্বে আরনি তালেবে দিদার।
একদিকে ভক্ত,প্রণত,তসবীহ,আর ছেঁড়া পোশাক,অপরদিকে মদে মত্ত প্রেম শরাবী বেকরার।
একদিকে মসজিদ,মেহরাব,মিম্বর শেখ যে,অপরদিকে প্রেমালয়ে প্রেমজ্ঞানী পৈতাদার।
একদিকে বৈদ্য,ঔষধ,চিকিৎসা,অপরদিকে প্রেমতাড়না দুরারোগ্য বিমার।
একদিকে বেদিল মকবুলের অসহায়ত্ব,অপরদিকে শাহী ঠমকে গাউসে মাইজভাণ্ডারী”।
আলকিসসা,নায ও নিয়াযের পর হযরত গাউসুল আ’যম ‘রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’ ভক্ত কর্তৃক
হাদিয়া স্বরূপ দরবারে আনীত গুড় থেকে কিছু পরিমাণ নিয়ে অতি চিত্তমুগ্ধ ও কামনীয় ভঙ্গিতে এবং মাহবুবানা কারিশমায় উক্ত শেখ আহমদ কে দিয়ে বললেন যে, “ আজ রাত আপনি আমাদের মসজিদে আরাম ফরমাবেন”। শেখ সাহেব অলংঘনীয় আদেশ মোতাবেক মসজিদে অবস্থান নিলেন।রাতে যহন শেখ সাহেব গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারীর কলবের প্রতি মনোযোগ দিয়ে মোরাকাবায় বসলেন ,আল্লাহর কুদরতে তাঁর সমস্ত শরিরে আগুন লেগে গেল এবং তাঁর শরির জ্বলে ভস্ম স্তুপে পরিণত হল
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ পংক্তিঃ “গাউসের প্রেমে বদৌলতে যে আগুন লেগেছে,সব ভস্ম হয়ে উড়ে গেলে ফানার আকাশে”
অরপরঃউক্ত ভস্ম পানিতে পরিণত হয়ে তাঁর বসার স্থানে বরফের মত স্তূপ হয়ে জমে রইল।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, “ কাল-নাগিনি ধ্বংসিতে কলিজায়,হয়ে গেল জ্বল কসম বেদিলির”