পূর্ণ এক সপ্তাহ আবেদনের ললাট ফায়েজপূর্ণ আস্তানার চিত্তমুগ্ধকারক দরজায় ঘর্ষণ করতেছিল,কিন্তু গাউছিয়তের দয়ার সাগর তরঙ্গিত হয়নি।পরিশেষে এক সপ্তাহ পর হযরত গাউসে পাক হযরত কেবলা কঃ ভক্ত-অনুরক্ত সমেত দায়রা শরিফে তাশরিফ আনয়ন করছেন।এমনি মুহূর্তে উক্ত শেখ আহমদ পতঙ্গের ন্যায়
গাউসে পাকের পূর্ণোজ্জল আলোতে মনোপ্রাণ উৎস্বর্গিত হয়ে চরণ যুগল আঁকড়েধরল এবং অতি অনুনয়-বিনয় কাতরতা ও আকুলতায় বাঞ্চিত মিলন পেয়ালার প্রত্যেক্ষদর্শী
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ,“প্রাণ প্রিয়ার নামের আদযাক্ষর ছদকায়,মনোপ্রাণ,
(একশিয়োমেট্রিক ট্রুথ) স্বতঃসিদ্ধ সত্য যে প্রেমাষ্পদেরা হৃদয়গ্রাহী প্রেম ছলনা কভু ছাড়েন না এবং দিল দারা প্রেমিকদের সকাতর প্রার্থনা কখনো দমিত হয় না।এদিক থেকে সর্বদা জীবন বাজি অপর দিক থেকে সদা বেনিয়াযি,একদিক থেকে প্রতি মুহূর্তে “রাব্বি আরনি” ,হে প্রভু আমাকে দর্শন দাও এবং অপরদিক থেকে সর্বদা “লান তারানি”,রুমি কভু আমাকে দেখবে না” এর তারানা।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, “ এই দুইটি কতই উত্তপ্ত প্রেমের বাজার? তোমার হুসন ও ইশকের শরাবে সবই আত্মহার।কত উচ্চ তব সুন্দর্য ও প্রেমের রাজ দরবার,যেদিক দেখিবে তব হুসন ও ইশকের দরবার।ঘুঘু,কোকি
একদিকে ভক্ত,প্রণত,তসবী
একদিকে মসজিদ,মেহরাব,মি
একদিকে বৈদ্য,ঔষধ,চিকিৎ
একদিকে বেদিল মকবুলের অসহায়ত্ব,অপরদিক
আলকিসসা,নায ও নিয়াযের পর হযরত গাউসুল আ’যম ‘রাদ্বিয়াল্লাহু
হাদিয়া স্বরূপ দরবারে আনীত গুড় থেকে কিছু পরিমাণ নিয়ে অতি চিত্তমুগ্ধ ও কামনীয় ভঙ্গিতে এবং মাহবুবানা কারিশমায় উক্ত শেখ আহমদ কে দিয়ে বললেন যে, “ আজ রাত আপনি আমাদের মসজিদে আরাম ফরমাবেন”। শেখ সাহেব অলংঘনীয় আদেশ মোতাবেক মসজিদে অবস্থান নিলেন।রাতে যহন শেখ সাহেব গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারীর কলবের প্রতি মনোযোগ দিয়ে মোরাকাবায় বসলেন ,আল্লাহর কুদরতে তাঁর সমস্ত শরিরে আগুন লেগে গেল এবং তাঁর শরির জ্বলে ভস্ম স্তুপে পরিণত হল
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ পংক্তিঃ “গাউসের প্রেমে বদৌলতে যে আগুন লেগেছে,সব ভস্ম হয়ে উড়ে গেলে ফানার আকাশে”
অরপরঃউক্ত ভস্ম পানিতে পরিণত হয়ে তাঁর বসার স্থানে বরফের মত স্তূপ হয়ে জমে রইল।
আয়নায়ে বারি (মূল উর্দু শের) তে উল্লেখ, “ কাল-নাগিনি ধ্বংসিতে কলিজায়,হয়ে গেল জ্বল কসম বেদিলির”